Breaking Bharat: মুখ দেহের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বা বলতে পারেন সবচেয়ে প্রিয় অংশ অনেকেরই। চোখ যেন কথা বলে আর ঠোঁট যেন শব্দের জন্ম দেয়। মুখ খুললেই চোখ পড়ে ঝকঝকে দাঁতের দিকে। মুক্তোর মতো দাঁত আর প্রাণখোলা হাসি, আহা এ যেন যুগলবন্দী। কিন্তু উল্টো কাণ্ড হলে, মানে দাঁত যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে মুখে গন্ধ, ব্যস! হয়ে গেল ,সব ওখানেই শেষ। তাহলে সবার আগে কী দরকার? দাঁতের যত্ন নিন।
দাঁত ভালো রাখতে হলে আমাদের কী কী করা উচিত?
মুখ এমন একটা জিনিস যা সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আপনার কথাবার্তা মন কেড়ে নেয়। কথা বলতে গেলে মুখ খুলতে হবে। আর দাঁত যদি অপরিষ্কার থাকে (Teeth are unclean) তাহলে কিন্তু মুখে গন্ধ হবেই হবে। সবকিছু সহ্য করা গেলেও মুখের গন্ধ সহ্য করা যায় না। বলা ভালো দুর্গন্ধ। আমরা সারাদিন কিছু না কিছু খাবার খাই। সেই খাবার দাঁত দিয়ে চিবিয়ে তারপর গিলে নিতে হয়।
খাবার খাবার পর যেমন জল খাই, তেমনি কিছু খেয়ে মুখ বিশেষ করে দাঁত পরিষ্কার করা দরকার (Teeth need to be cleaned)। না হলে সেই খাবারের অংশবিশেষ মুখে বা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকবে। আর সেখান থেকেই তৈরি হবে সমস্যা। তাই আগেই নিজের দাঁতের যত্ন নিন (Take care of your teeth)। কিভাবে যত্ন নেবেন জানাবো আপনাকে (improve your teeth)।
দাঁত পরিষ্কার রাখা দরকার। তার জন্য পর্যাপ্ত জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করতে হবে। আসলে দাঁতের ফাঁকে ব্যাকটেরিয়া জমলে এই সমস্যা হয়। দিনে দুইবার ব্রাশ করা আবশ্যক। দুপুরে খাওয়ার পর এবং রাতে খাবার খাওয়ার পর। তবে আজকাল অনেকেই অফিসের কাজের জন্য দুপুরের সেভাবে খেতে পারেন না। লাঞ্চ হিসেবে হিসেবে যা আপনি খাচ্ছেন তারপর ভালো করে মুখ কুলকুচি করে নিয়ে জল দিয়ে মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখুন (teeth care tips at home)।
আরেকটা কথা বলি, চিনি ব্যাকটেরিয়ার পছন্দের খাবার। দাঁতে চিনি জাতীয় খাদ্য আটকে থাকলে ব্যাকটেরিয়া আপনার মুখের ভিতরে বাসা বাঁধবে। আগেই বলেছি ব্রাশ করার কথা তবে পাঁচ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে ব্রাশ করবেন না। খুব বেশি হলে দুই থেকে আড়াই মিনিট, বেশিক্ষণ ব্রাশ করলে মুখের ভেতরে থাকা লালা রস এবং মাড়ির ক্ষতি হতে পারে।
আরো পড়ুন- The sea is blue : কেন সমুদ্র নীল? নীল রং কি প্রকৃতির ভীষন প্রিয়?
আরো পড়ুন- Fish smell weird: পুকুর বা সমুদ্রের জলের মাছের গায়ে বেশি আঁশটে গন্ধ হয় কেন ?
এবার আপনাদের জানাবো কী মাজন ব্যবহার করবেন ?
দেখুন বাজারি নামিদামি ব্র্যান্ডের নানা রকমের টুথপেস্ট আপনি পাবেন। যে মাজন ব্যবহার করছেন তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্লোরাইড আছে কিনা দেখে নিন। আরেকটা বিষয় আপনার টুথপেস্ট- এ নুন বা সোডিয়াম ক্লোরাইড আছে কিনা সেটাও জানা দরকার। অনেকেই মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করেন। কিন্তু সেটা কতটা টুথপেস্ট এর বিকল্প তা ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। মাথায় রাখবেন অন্তত দুই থেকে তিন মাস পর ব্রাশ পাল্টানো দরকার। শুধু ভাত নয় নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখতে হবে।
আরো পড়ুন- সারা শরীর জুড়ে ঝনঝন বা কনকন, কিন্তু হাত পা ঝিনঝিন বা অবস ভাব কেন করে জানেন ?
সবশেষে বলি, প্রচুর পরিমাণে জল খান ,সবজি ফলমূল ইত্যাদি খান । শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকলে বাইরেও তার ছাপ পড়বে।