Breaking Bharat: বৃষ্টি মধুর দানা হয়ে ঝরে পড়ে তখনই যখন আপনি নিশ্চিন্তে থাকেন যে আপনার প্রিয় মানুষ নিরাপদে আছেন। কিন্তু এ কি, এ তো মহা বিপদ! বৃষ্টি পড়ে মাটি ভিজল কি ভিজল না, ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়া শুরু (Water started dripping from the roof)। এবার তো কিছু করা দরকার । আপনি হয়তো ভাবছেন এটা আবার কেমন বিষয় ? কিন্তু যাঁদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটছে তাঁরা যে কী সমস্যায় আছেন সেটা অন্য কেউ বুঝবেন না। তবে সমস্যা থাকলে সমাধান নিশ্চয়ই থাকবে, তাই না? চলুন দেখা যাক কোনও সমাধান সূত্র মেলে কিনা?
রোগীকে সারাতে গেলে আগে রোগ টা বুঝতে হবে, এর উৎস খুঁজতে হবে। আসলে আমরা ভিত তৈরিতে যতটা জোর দিয়ে থাকি ছাদ তৈরিতে ততটা না। ফলে অনেক সময় দেখা যায় ছাদে ব্যবহৃত বালির গুণমান খারাপ বা ছাদ ঢালাইয়ের সময়, ইট বালি সিমেন্ট এর মিশ্রণ নির্দিষ্ট অনুপাতে করা হয় নি।
ব্যস এখান থেকেই সমস্যা অজান্তেই জন্ম নিতে থাকে কিন্তু আমরা সেভাবে পাত্তা দিই না। তার উপর অবহেলা তো আছেই। যেভাবে ঘরের ভিতরটা পরিষ্কার রাখি সেভাবে ছাদের যত্ন নিয়ে উঠতে পারেনা সাধারণ পরিবার। তাই বছরের পর বছর ধরে রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, হাওয়ায় শুকিয়ে ছাদ ক্ষয়ে যেতে থাকে (Take care of the roof of the house)।
তার উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ঝড় বৃষ্টির কারণে ছাদে হাওয়ায় উড়ে এসে, ধুলোবালি, ময়লা, আবর্জনা এসব জমতে থাকে, বৃষ্টির জল দ্রুত ছাদ থেকে নেমে যেতে পারে না। এর জন্য পাইপ লাগান থাকে একথা ঠিক। কিন্তু ছাদ থেকে জল নেমে যাওয়ার পাইপ ঠিক আছে কী না, বৃষ্টির সময় জল সেই পাইপ দিয়ে নেমে যাচ্ছে কী না, এসব লক্ষ্য করেন নিয়মিত?
ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন,বৃষ্টির জল ছাদে জমতে জমতে ওয়াটার ড্রিপিং শুরু হয়। এখন থেকেই সমস্যা গুরুতর হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে অনেক রাজমিস্ত্রি ওয়াটার/ ড্যাম্প প্রুফিং ট্রিটমেন্ট (Damp proofing treatment) করার কথা বলেন। জানেন সেটা কি?
আরো পড়ুন- মানুষের মনে দুঃখ না দিয়ে সরাসরি মুখের উপর ‘না’ বলতে শিখুন, কিন্তু সেটা কিভাবে?
প্রথমেই বলি এটা বেশ ব্যয়সাধ্য। শুরুতেই পুরো ছাদটাকে হাল্কা করে খুঁড়ে চিপিং করা হয়। এরপর ছাদ জুড়ে একধরনের আঠা ,রোলিং মেশিন দিয়ে ঢেলে দেওয়া হয় যা একটা চাদরের মতো আস্তরণ তৈরি করে। দিন চার পাঁচ ওরকম অবস্থায় রাখার পর ফের আরেক কোট আস্তরণ দেওয়া হয়। এই অবস্থা থাকবে সাতদিন।
আরো পড়ুন- আচমকাই কখনও কানে মাছি বা পোকা ঢুকেছে ? যদি এমন হয় কী করবেন?
শুকিয়ে যাওয়ার পর এর উপর বালি, সিমেন্ট মিশিয়ে ঢেলে দেওয়া হয় এবং তারপর পালিশ করা হয়। এরপর আপনার ছাদ ঠিক থাকার একটা মিনিমাম গ্যারান্টি পাওয়া যায়, মেয়াদ প্রায় এক যুগ। যদিও আমরা এর বাস্তব প্রয়োগ করে দেখি নি।
আরো পড়ুন- জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো কেন দুঃখ দেয়? এমনটা হলে কি করা উচিত ?
আপনিও যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে চান তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।