Breaking Bharat: ভালোবাসা দেয় সে যদি,তাহলে দুঃখ কেন দেয়? মুখে হাসি দিয়ে আবার চোখ কেন ভেজায় ?
ছন্দ দিয়ে প্রতিবেদন শুরু, কারণ একটাই, দুঃখে বা আঘাতে যন্ত্রণায় কাব্য একটু বেশি করেই তার সাহিত্যরস ছুঁয়ে ফেলে। কার কখন কীভাবে খারাপ লাগবে বা কষ্ট আসবে , এটা আগে থেকেই বিধাতা ছাড়া আর কেউ জানেন না। তাই সম্ভবপরের জন্য প্রস্তুত থাকা ছাড়া, আর কোনও রাস্তা নেই ভালো থাকার। জীবনের সব থেকে কাছের মানুষটি যদি দুঃখ দেয় তা কাটিয়ে ওঠা সত্যিই বেশ কঠিন। তবে অসম্ভব নিশ্চয়ই নয়।
দুঃখ কিসে হয়? রাজার রাজা, সেও তো সুখী নয়! তাহলে দুঃখ কারে কয়?
এর উত্তরটা আপনি খোঁজ করতে গেলে আপনার একের পর এক মুহুর্ত শেষ হয়ে যাবে, তবুও কোনও একটা ধ্রুবক উত্তর পাবেন না।এবিষয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে কি বলুন তো , একা পৃথিবীতে এসেছেন একাই পৃথিবী ছাড়তে হবে। মাঝের সময়টা একা না থাকার অভিনয় করতে করতে সেই অভিনয়টাকে সত্যি বলে মনে হয়, যেটা আসলেই মিথ্যে।
অনেকগুলো বিষয় নির্ভর করে যেমন , যিনি আপনাকে আঘাত দিচ্ছেন তিনি আপনার কতটা কাছের? তাঁকে সেই জায়গাটা আপনি কেন দিয়েছেন, এ প্রশ্ন নিজেকে করুন। সুযোগ পেলে সুযোগ নেবে,কে তাঁকে শাস্তি দেবে? তাই কাউকে বিশেষ জায়গা দেওয়ার আগে একটু তাঁর জায়গাটা বুঝে নিন। তিনি কি আদৌ আপনার মনে জায়গা পাওয়ার যোগ্য? এক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন অজান্তেই অনেকেই মনে জায়গা করে নেয়, ঠিক কথা।
কিন্তু মনের দরজা অবারিত করে রাখলে সমস্যা আপনার বাড়বে। এবার আপনি বলতেই পারেন মনের দরজা তো খোলা রাখাই উচিত, মন উদার হয় ।ঠিক তাই, কিন্তু উদারতার সুযোগ নেওয়া আর তাকে প্রশ্রয় দেওয়া সমান অন্যায়। এবার ভাবুন ভেবে কাজ করবেন না কাজ করে ভাবতে ভাবতে পস্তাবেন। মানুষ মাত্রই আবেগ-অনুভূতি প্রবন্ধ কিন্তু সেই আবেগ অনুভূতিকে ভুল জায়গায় ভুল জনের জন্য ভুল সময়ে প্রয়োগ করবেন না। দারুন তিনি বা তাঁরা আপনার এই গুণটি কে সম্মান নয় ব্যবহার করবে।
জীবনের সবথেকে ভালো থাকার উপায় কি বলুন তো?
যা ঘটেছে তাকে ভুলে যাওয়া। না হলে স্পষ্ট জবাব দেওয়া। সাময়িকভাবে অবসাদ থাকে কিন্তু সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা অনবরত করে যেতে হবে। দরকারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, এর মধ্যে লজ্জা বা অন্যায় কোনটাই নেই। ছোট ছোট প্রয়াস করতে থাকুন বড় কিছু ঘটবেই। দেখুন কথাগুলো বলা হয়তো সহজ কিন্তু যার সঙ্গে ঘটছে বা ঘটেছে তিনি এই কষ্টটা অনুভব করেছেন।
আমরা সমবেদনা জানাই কিন্তু সহানুভূতি কামনা করব কেন ?
গাড়ির লুকিং গ্লাস-এর দিকে তাকিয়ে সামনে এগিয়ে চললে এ্যাকসিডেন্ট হবেই। সামনের দিকে এগোতে হলে সামনেই তাকান পিছনে ফিরবেন না।
আরো পড়ুন- মানুষের মনে দুঃখ না দিয়ে সরাসরি মুখের উপর ‘না’ বলতে শিখুন, কিন্তু সেটা কিভাবে?
আসলে সব পেলে নষ্ট জীবন এই তত্ত্বটা আপনাকে বুঝতে আর মানতে হবে। কিছু না পাওয়া সবার জীবনে আছে আর সেটাই স্বাভাবিক। যেটা বাস্তব তাকে শুধু শুধু কল্পনার মোড়ক দিয়ে নিজের মতো সাজাবেন কেন, সেটা তো বাস্তবে ঘটবেই। বরং আপনার বর্তমান টা কী করে আরও ভালো করা যায়, অতীতকে সাইডে রেখে ভবিষ্যৎটাকে কত সুন্দর করার চেষ্টা করা যায়, সে দিকে মন দিন না।
আরো পড়ুন- Radar: ‘রাডার’ হল রেডিও ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, এর কাজ কী? জানা আছে?
আরো পড়ুন- Use of Mirrors: নিজের মুখ আর রূপ দেখার জন্যই কি আয়না? যদি আয়না না থাকতো, তাহলে?
কে কষ্ট দিল আর তাঁকে আপনি কীভাবে কষ্ট দেবেন এইসব না ভেবে, মাথায় রাখুন আপনার যা প্রাপ্য এই পৃথিবী থেকে ,আপনি নিশ্চয়ই পাবেন। তাই শুধু কাজের মধ্যেই থাকুন বাকিটা দেখার জন্য কেউ আছেন।