Breaking Bharat: আমাদের জীবন জুড়ে হাজারও সমস্যা। এসব থেকে মুক্তির উপায় প্রায় নেই বললেই চলে, যদি না আমরা নিজেরাই সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারি। মানুষের মন এবং মস্তিস্ক কখনই খালি বা ফাঁকা থাকতে পারে না। প্রতি মুহূর্তেই আমরা কোনও না কোনও চিন্তার মধ্যে আছি। আর ঘটনাচক্রে এর বেশিরভাগটাই দুশ্চিন্তা । কিছু চাইছি কিন্তু কোনও ভাবেই সেটা আর হয়ে উঠছে না।
প্রথম প্রথম ভাগ্যের দোহাই দিলেও পরবর্তীতে আর নেওয়া যায় না। মনে হয় সবকিছু কেন হচ্ছে? নিজেকে ব্যর্থ মনে হয় (Feel yourself failing)। আর ঠিক এই ভাবনা থেকেই বাড়ে অবসাদ, মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার যা কিনা প্রথম ধাপ। এগুলো সব আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর । আপনি কি জানেন, কোন বিষয়ে অযৌক্তিক ভয় থেকেই দুশ্চিন্তার উদ্রেক হয়। এই চিন্তা গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবাস্তব হলেও আমাদের অবচেতন মন সেগুলো কে বাস্তব হিসেবে ধরে নেয়, দীর্ঘদিন ধরে একই চিন্তা বারবার করার ফলে। যার প্রভাব পড়ে আমাদের বাস্তব জীবনে।
মনে অনবরত জমাতে থাকা ভিড়ে শুধুই কি নেগেটিভ চিন্তা!
তাই বলে চিন্তা ছাড়া কি থাকা যায়? কেউ পারে? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল নিরাপদ মাত্রায় চিন্তা আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, কিন্তু অতিমাত্রায় চিন্তা (দুশ্চিন্তা) কর্মক্ষমতা কমায়, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় (Symptoms of mental depression)। অবান্তর চিন্তা আমাদের বাস্তবতা থেকে দূরে রাখে।
আরো পড়ুন – নিজের আসল শত্রু বা মুখোশের আড়ালে থাকা মানুষটাকে চিনতে শিখুন! কিভাবে?
দেখুন মনে প্রতিমুহূর্তে নেগেটিভ চিন্তা (Negative thoughts in every moment) বাড়তে থাকলে আপনার মানসিক সমস্যা (Mental problems) হতে বাধ্য। তাই সেক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে হবে কি করলে আপনি ভালো থাকবেন। সমস্যা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে কিন্তু সমস্যা কমে না, বরং নিজেদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে উল্টে বিপদ ডেকে আনি আমরা। মনরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে ভালো খাবার খেলে অনেক সময় মন ভালো হয়। তাই সুষম খাবার খান, ঠাণ্ডা জল খান প্রচুর, আর একটু বেশি সময় ধরে ঘুমোতে চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুন – বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা! যেখানে আজও পর্যটন নিষিদ্ধ! কেন জানেন?
বন্ধু বান্ধব যারা সবসময় পজিটিভ চিন্তা (Always think positive) করেন তাদের সাথে কথা বলুন, কমিক পড়ুন। জানি এই সময় এসব কথা শুনতে হয়তো ভালো লাগবে না আপনার কিন্তু চেষ্টা করুন। জীবন বাঁচা দরকার, আর সেটা মন ভালো রেখে।
আরো পড়ুন – আপনার কি খুব রাগ হয় ? অল্পেতে ভীষণ রেগে যান? কিভাবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
মনকে যেমন ইচ্ছে চিন্তা করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।বিষয়টি পুরোপুরি অনুশীলনের উপর নির্ভরশীল (Depending on the practice), তাই আপনি নিজে থেকেই যতটা সচেষ্ট হবেন তত ভালো ফল পাবেন।
আরো পড়ুন – Finger print : সবার হাতের ছাপ মানে ফিঙ্গার প্রিন্ট এক হয় না কেন?
তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় মনে হবে কোন ফলাফল আসতেছে না, তবু ও হাল না ছেড়ে চালিয়ে যাবেন। একসময় নিজেই নিজের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।যখনই কোন দুশ্চিন্তা মাথায় আসবে তখনই সেটা সরিয়ে অন্য কোনো কাজের চিন্তা করুন। বিষয়টা সহজ নয়, কিন্তু চেষ্টা করে দেখুন না। বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান আর হ্যাঁ ফুল দিয়ে ঘর সাজান।