Breaking Bharat: নারী হোক বা পুরুষ, জীবনের সম্পূর্ণতা সন্তান লাভে। এই কথা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না। আসলে মা বাবা ডাকটার মধ্যেই আছে পরম শান্তি। তবু নানা কারণে অনেকেই নিজে মা হতে পারেন না। সমাজ-সংসারের কটুক্তি তো আছেই আর সেই সঙ্গে মানসিক ট্রমা। এখন বিজ্ঞান এই সবকিছু থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে নিয়ে এসেছে সারোগেসি পদ্ধতি (Surrogacy method)। আজ বলব সেই কথাই।
পুরুষ এবং নারীর মিলনে নতুন প্রাণ ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু অনেক সময় শারীরিক নানা সমস্যার জন্য নারী দেহ সন্তান ধারণে সক্ষম হয় না (The child is not able to conceive)। আজ এমনটা হওয়া মানেই আপনি মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হবেন তা কিন্তু নয়। সময়ের পরিবর্তনে মেডিকেল সাইন্স অনেকটা এগিয়ে গেছে।
তাই কাল যেটা একেবারে অসম্ভব মনে হতো আজ সেটাই একেবারে হাতের মুঠোয় (possible to have children)। আর সব সময় মনে রাখবেন নিরাশ হবার কিছু নেই। একদিকে অন্ধকার থাকলে আলো নিশ্চয়ই থাকবে অন্য কোন প্রান্তে। আজ এই প্রতিবেদন তাদের জন্য যারা সন্তান না হওয়ার মনগড়া অথচ সারোগেসি শব্দের সঙ্গে পরিচিত নন।
মা হওয়া কি মুখের কথা! হোক না সে সারোগেসি
সারোগেসি খুব সাধারন এক প্রক্রিয়া (Surrogacy is a very simple process)। আমরা যেমনটা জানি যে পুরুষের শুক্রাণু এবং নারী দেহের ডিম্বাণু মিলে ভ্রূণ সৃষ্টি করে। এবার ধরুন দেহের জরায়ু ভ্রূণকে পরিণত করার জন্য যথাযথ নয়। সেক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া আপনাকে অন্য কোন দেহে করাতে হবে।
Smart Phone: মোবাইল ফোন কোথায় বেশি নিরাপদ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম হয়? পকেটে নাকি হাতে?
অর্থাৎ মা এবং বাবার দেহ থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিয়ে শরীরের বাইরে তাদের ফার্টিলাইজ করে তা থেকে ভ্রূণ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেই ভ্রূণকে অন্য কোনো মহিলার স্থাপন করে দিতে হবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় সারোগেসি। এবং যার গর্ভে ভ্রূণ স্থাপন করা হয় তিনি হলেন সেই সন্তানের সারোগেট মাদার (Surrogate mother of the child)।
Finger print : সবার হাতের ছাপ মানে ফিঙ্গার প্রিন্ট এক হয় না কেন?
বিয়ে করতে চান? সাবধান! এই বিষয়গুলো না জেনে একদম এগোবেন না।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে কারা হতে পারেন সারোগেট মাদার?
এক্ষেত্রে টাকার বিনিময় অনেকেই এই কাজটি করতে চান। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষায় পাস করলে তারপরে, এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা যায় । এক্ষেত্রে সারোগেট মাদার এর পরিচয় গোপন রাখা হয়। যদিও সন্তান চাইলে সারোগেট মাদার এর পরিচয় জানতেই পারেন। সাধারনত ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে এই কাজ করা উচিত নয় । বলে রাখা ভালো যে এই কাজ করতে গেলে কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয় না । শুধু মাত্র ভ্রূণ স্থাপন করা হয়।এতে যেমন একটি প্রাণ পৃথিবীর আলো দেখে, তেমনই পরিবারে আসে খুশির জোয়ার।