Smart Phone: মোবাইল ফোন কোথায় বেশি নিরাপদ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম হয়? পকেটে নাকি হাতে? আজকালকার দিনে ফোন ছাড়া কেমন যেন অন্ধকার লাগে চারপাশ, তাই না? একটা ফোন কীভাবে যে বদলে দিল জীবন ভাবাই যায় না। আজ ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত, আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী হচ্ছে স্মার্ট ফোন (Smart phone)।
একে ছাড়া আমরা নিজেদের জীবনের একটা মুহূর্তও কল্পনা করতে পারিনা। সেই ফোনকে ভালো রাখতে সব সময় চেষ্টা করেন আপনি। ভালো ডিসপ্লে গার্ড ,দামি ব্যাক কভার মোটামুটি সব রকমের ব্যবস্থা নিয়ে ফেলেন আপনি এই ফোনকে ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু কোথায় রাখবেন এই ফোন এই বিষয়ে গুরুত্ব দেন কি? কারণ সঠিক ঠিকানায় ফোন না রাখলে আখেরে ফোন এবং আপনি দুজনেরই বিপদ!
আপনার মুঠো ফোন কোথায় বেশি নিরাপদ?
আজকালকার যুগে স্মার্ট ফোন যেন হয় নিজের পারসোনালিটির সঙ্গে মানানসই- এই বিষয়টি সকলেই মাথায় রাখেন। কিন্তু ফোন রাখেন কোথায়? আপনি হয়তো ভাববেন এ আবার কেমন প্রশ্ন! হাতে বা পকেটে থাকবে ফোন এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার।
কিন্তু জানেন কি স্মার্টফোনের আসল ঝুঁকি ঠিক কোথায়? যেকোনো ফোনেরই একটা রেডিয়েশন লেভেল থাকে (Any phone has a radiation level), যাকে আপনি স্মার্টফোনের প্যারামিটার বলতে পারেন।
আসলে এতে ম্যাগনেটিক একটা তরঙ্গ থাকে যা কিনা মস্তিস্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই আপনার মস্তিষ্ক থেকে কতটা দূরত্বে রেখে ব্যবহার করছেন স্মার্ট ফোন সেটা জানা দরকার।
ফোন কিনতে গেলে আপনি যতটা বেশি ব্যাটারি ব্যাক আপ আর মেমরি নিয়ে ভাবেন ততটাই যদি রেডিয়েশন নিয়ে প্রশ্ন করেন তাহলে সেটা কিন্তু অনেক ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন – Smart & i phone : অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যাবে আইফোনের সুবিধা? আসছে নতুন এই ফিচার!
ফোনের মধ্যে থাকে ট্রান্সমিটিং ডিভাই
আপনি কি জানেন ফোনের মধ্যে একটা ট্রান্সমিটিং ডিভাইস থাকে যা থেকে অদৃশ্য কিছু রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ প্রতিমুহূর্তে বেরতে থাকে। একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত অবশ্য এটা ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু এর লেভেল যদি বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে আপনার শরীরে বিশেষ করে মস্তিস্কে। স্মার্টফোনের এই রেডিয়েশনের স্পেসিফিক এবসর্পশন রেট বা SAR ভ্যালু দিয়ে বোঝা যায়।
আরো পড়ুন – Finger print : সবার হাতের ছাপ মানে ফিঙ্গার প্রিন্ট এক হয় না কেন?
আপনি নিজেই এটা জেনে নিতে পারেন। আপনার ফোন থেকে টাইপ করুন *#07#,তারপর আপনার ফোনের স্ক্রিনে দেখতে পাবেন SAR সংক্রান্ত ইনফরমেশন পেয়ে জাবেন । এর নিচে দেখতে পাবেন ফোনের রেডিয়েশন লেভেল । উল্লেখ্য স্মার্টফোন বন্ধ থাকলেও এর SAR কিন্তু সক্রিয় থাকে। তাই পকেট বা হাতে যেখানেই রাখুন না কেন সেটা ততক্ষণই নিরাপদ যদি তার SAR ভ্যালু ঠিক থাকে।
আরো পড়ুন – বিয়ে করতে চান? সাবধান! এই বিষয়গুলো না জেনে একদম এগোবেন না।
- স্মার্টফোনের আসল ঝুঁকি ঠিক কোথায়?
- যেকোনো ফোনেরই একটা রেডিয়েশন লেভেল থাকে
- আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী হচ্ছে স্মার্ট ফোন (Smart phone)
এবার প্রশ্ন কতটা ভ্যালু হতে হবে?
International Commission for Protection from Non-Ionizing Radiation অনুযায়ী সর্বোচ্চ মাত্রা ২ w/kg যা BTRC অনুমোদিত। ভারত সরকারের টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুসারে এই এসএআর ভ্যালু প্রতি কিলোগ্রামে ১.৬ ওয়াটের বেশি হলে চলবে না বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এবার একটু এই বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন প্লিজ।