ধ্রুপদী কবিতা : মেঘ পালক ও বৃষ্টি ধ্বনি – বিদ্যুৎ ভৌমিক (Breaking Bharat) : চোখ বিছিয়ে অন্তর্হিত হাত এগিয়ে যেইনা ধরতে যাব ,স্বপ্ন যেন সাদা পৃষ্ঠায় এ’ভাবেই কুপোকাত্ ! তবুও যেন এই ঘুমন্তে শ্রবণ দেখা নেহাতি হাজার কথার বর্ণিত আঁকিবুকি,
আকাশটা ঠিক আগের মতোই এক শারীরীক রঙ বদলে ঐতিহাসিক ! মনের ভেতর মন রাঙিয়ে আনন্দে ডুবু-ডুবু,আকাশটা সে-ই পদ্য পাড়ায় ইচ্ছে করেই বুক পেতেছে সোহাগ দিতে আমার কাছে ! ও-ই আকাশের সুদূর থেকে বৃষ্টি ঝরে একই ধারায় হঠাৎ যেন কি হচ্ছিল সেই ধ্বনিতে মন ডুবিয়ে এই আমিটার অতলান্তে !
মেঘ পালকে ভাসছি আমি অতীত এবং ভবিষ্যতে ! অন্য কোন ইচ্ছা গুলো ভরদুপুরে তোর এঁকেছে জ্যোৎস্না শরীর , এই জন্যেই ভেতরশুদ্ধ ঋণী রইলাম প্রিয়ংবদা সবটুকুই পাগল আবেগে ! কতবারযে তোকে পেয়েছি মেঘ সরিয়ে গভীর থেকে স্বভাবতই এভাবে ঠিক মন পুড়েছে ,অসুখটা যে পরমুখোপেক্ষী এটাওতো আগে বুঝিনি !
আরো পড়ুন- ভালবাসার টান! এই ব্যক্তি তাঁর ভালবাসার জন্য যা করলেন,জানলে আপনার চোখের জল বাঁধ মানবে না
বৃষ্টি বৃষ্টি চোখ খানি তোর বেশি বললে বিশ্বব্যাপী ! ওই চোখেতে সারা বছরই আমার কাছে আষাঢ় – শ্রাবণ ,যদিও ঠিক এই সময়ে বাতাস হতে ইচ্ছা করে একমাত্র তোর জন্যে প্রিয়ংবদা ! এইতো আমার ভিতরশুদ্ধ তুই ছাড়া কেউ নেই ,আমার যত দোষগুলোকে আকাশ তারায় গুণন্তি করে মিলিয়ে নিলাম হেয়ালী নয় ,সত্যি বলছি প্রিয়ংবদা ! এবার আমায় ক্ষমা করে দে তোর শরীরে ভাসার জন্য পুণ্যবান হতে দে !
আরো পড়ুন- in a relationship : প্রেম,ভালবাসা আসলে কি ? মানুষ কেন প্রেম করে ? কী বলছেন বিজ্ঞান?
গোটা রাতটা আমার মতোই অর্ধেক অবিশ্বস্ত তবু আমায় ক্ষমা করিশ ঘুম হারানো নির্ঘুমেতে এমনি ভাবে,মেঘ যেন সেই তেপান্তরে উড়তে উড়তে অনেকটা দূ-র প্রেম প্রবাহে অস্পষ্ট কুমারী ! এই ঘরেরই এই বিছানায় অহরাত্রি তোরই স্মৃতি কি করে যে ভুলতে পরি প্রিয়ংবদা ? বন্ধ চোখের ভেতর থেকে ক্রমাগত একই ধ্বনি সঙ্গী কিম্বা সহপাঠী যদিও আমার এই চিঠিতে আসা যাওয়ার চেনা পথটা বৃষ্টির শব্দে শব্দে কি ভাবে যে দুঃস্বপ্নের ভেতর মুছে গেল ! একমাত্র তুই সাক্ষী থাকলি ওরে পাগলী !!
লেখনীকাল : ১৬ জুন ১৯৯৭ কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর জন্মদিন ৷ স্থান : ছায়ানীড় , শ্রীরামপুর , হুগলী ,
ভারত , পশ্চিমবঙ্গ – সমাপ্ত