Breaking Bharat: গরমে দরদর করে ঘাম নিত্যসঙ্গী। অনেকে আবার পর্যাপ্ত জলও খান না। সবমিলিয়ে হিটস্ট্রোকের রিস্ক থেকেই যায় (Risk of heat stroke on hot days)। এই পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে এবং গরমে শরীর সুস্থ রাখতে খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত । কিন্তু অনেকেই জানেন না, ঠিক কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। অনেকের মধ্যে তো ভুল ধারণাও রয়েছে। গরমের দিনে পাতে কী খাবার রাখবেন, কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?
শরীরে জলের ঘাটতি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি (Heat stroke) বাড়ে। তাছাড়া গরমে ঘাম হলে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়। তা থেকেও পড়ত হতে পারে সমস্যায়। এছাড়াও গরমের জেরে জ্ঞান হারানো, বুক ধড়ফড় করা, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায়ও পড়তে হতে পারে। কিন্তু কেন হয় এই ধরনের সমস্যা? পুষ্টিবিদ রেশমি রায়চৌধুরী এই বিষয়ে বলেন, নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের মতো নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত যে জল বেরিয়ে যায়, তার ঘাটতি হলেই দেখা দেয় এই সমস্যা।
(One should be careful about eating to keep the body healthy in hot weather)
গরমের দিনের এইসব সমস্যা থেকে কীভাবে মিলবে রেহাই?
শরীর থেকে প্রতিনিয়ত যে জল বেরিয়ে যায়, তা পূরণ হয় খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে। জলের জোগান কম পড়লেই শুরু হয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। এই সমস্যা ছাড়াও শরীর ঠান্ডা রাখা এবং দেহে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে গেলে খাবার পাতে কী কী রাখবেন?
আরো পড়ুন- WhatsApp User : ব্যবহারকারীদের কথা ভেবে দুর্দান্ত ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ!
কাঁচা আম (Health benefits of raw mango): গরমের সমস্যায় বড় দাওয়াই কাঁচা আম। শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বের করে দিতে সাহায্য করে কাঁচা আম। তাছাড়া দেহে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখাঁ এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রেও এই ফল কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। নুন দিয়ে কাঁচা আম ছাড়াও কাঁচা আম পোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আমের চাটনিও খেতে পারেন।
ডাবের জল (Health benefits coconut-water) : গরমে ডাবের জলের কোনও বিকল্প নেই। আমরা সবাই জানি, ডাবের জলে পেট ঠান্ডা থাকে। আর পুষ্টিগুণ তো রয়েছেই। শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
আরো পড়ুন- ডিম সিদ্ধ, ডিম ওমলেট বা ডিম দিয়ে তৈরী যে কোন রেসিপি শরীরের পক্ষে কতটা ভালো ?
লাউ (Lau): লাউ শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে অনেকেই ঘরে লাউ রেঁধে খান। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল, রান্না করা লাউয়ের তুলনায় কাঁচা লাউয়ের রসের উপকারিতা অনেক বেশি। লাউয়ের রসে সামান্য নুন আর লেবুর রস দিয়ে দিনের যেকোনও সময় খেতে পারলে শরীর বেশ ঠান্ডা থাকে এবং শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। তাই গরমের দিনগুলোয় রোজ খাবারের পাতে রাখুন লাউ।
আরো পড়ুন- সুন্দরবনের মানুষের জীবন -যাপন, সুন্দরবন বাঁচাতে এবার উদ্যোগী হলো সুন্দরবনের মহিলারা।
টক দই (Sour Yogurt Good for Health): টক দইয়ের গুণাগুণ আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সবাই কমবেশি জানেন। তবে বিশেষ করে গরমকালে খাওয়ার পাতে টক দই অবশ্যই রাখা দরকার। ভাত দিয়ে বা ফল দিয়ে কিংবা শুধুই খেতে পারেন টক দই। দইয়ের ঘোল কিংবা লস্যি বানিয়েও খেতে পারেন। তাহলে শরীরে জলের চাহিদাও মিটবে।
আরো পড়ুন- Everyday Protein : শরীরে যত প্রোটিন যাবে,ততই ভাল! আদৌ কি তাই? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
অঙ্কুরিত মুগ ডাল (Sprouted mug dal): গরমের দিনে আর একটি খাবার বেশ উপকারি। বিকেলে খিদে পেলে অঙ্কুরিত মুগ ডালের স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন। এতে হয়তো ক্যালোরির পরিমাণ কম, কিন্তু পেট ঠান্ডা থাকে, শরীরে সোডিয়াম আর পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে অঙ্কুরিত মুগডাল খেলে।