An interview famous poet of Bidyut Bhowmick / প্রখ্যাত কবি ও বাচিক শিল্পী বিদ্যুৎ ভৌমিক”- এর সাক্ষাৎকার
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর কবিতানির্ভর সাক্ষাৎকার ৷
সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ডঃ ইব্রাহিম ইসলাম ( ক্যানাডা , টরেন্টো )
বিদ্যুৎ বাবু সালাম ৷ আজ আপনার কাছে কিছু প্রশ্ন নিয়ে এসেছি , কেননা আপনি যেভাবে আপনার লেখালিখি নিয়ে সারাক্ষণ ব্যাস্ত থাকেন ভেবেছিলাম আপনি হয়তো আমাকে আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন ! কিন্তু না , কলকাতা ২০২২ বইমেলা”- য় এসে স্থির করলাম আপনার একটা ইন্টারভিউ নেব , বইমেলা শেষের দিন কলকাতার একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে আপনার ফোন নাম্বার নিয়ে যোগাযোগটা করেই বসলাম !
মোবাইলে আপনার কাছে মনের ইচ্ছেটুকু প্রকাশ করতেই আপনি রাজি হয়ে গেলেন ! সত্যি বলতে কি একজন উদার চরিত্রের গুণাগুণ একজন প্রকৃত কবির-ই থাকা উচিৎ , সেদিক থেকে আপনি উদাহরণ বলা যেতে পারে ! আপনাকে আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল ৷
এখন প্রশ্ন হল –
এই মূহুর্তে বিশ্বমানচিত্রে যে জটিল পরিস্হিতি , অমানবিক বর্বরতা নিষ্ঠুরতা নৃশংসতায় লজ্জায় মুখ ঢেকেছে মানবতা , বিদ্যুৎ বাবু আপনি কি মনে করেন এই বহতা বিশ্রী সময়টা একদিন সত্য ও সুন্দরের চেহারা নিয়ে আমাদের একটা ভালো রাস্তা দেখাবে ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
অবশ্যই ! আমি সব সময়ই পজেটিভ চিন্তা করি ৷ আসলে কি , এই ছলচাতুরি , কপটতা , আর ভন্ডামি হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক চতুর্যের অমোঘ নিয়তি ৷ এই বিস্তৃত প্রমাণ্যসূত্রিক আলোচনায় , এটাই সুস্পষ্ট হয় যে , রাষ্ট্রসন্ত্রাস, গণহত্যার বর্বরতা চলে এসেছে সেই আদ্যিকাল থেকে ! পৃথিবীর শিল্পী , কবি , সাহিত্যিক , চিত্রকর , ভাস্কর , শিক্ষক ও বুদ্ধিজিবি , এঁরা গান গেয়ে , কবিতা গল্প গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখে , ছবি এঁকে যুগ যুগ ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছেন এই পৃথিবীটাকে দুষণমুক্ত করার ! সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই পাল্টেছে , বদলেছে শয়তানের চেহারা !
Poet Bidyut Bhowmick : প্রখ্যাত কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক ও তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা
ভদ্রতার মুখোশ এঁটে এটা চলিয়ে যাচ্ছে তান্ডাব ! আমরা যারা স্বপ্ন দেখি একটা সত্যি কারের মেঘমুক্ত আকাশ , একটা ফুল আর পাখির কাকুলিতে ঢাকা পৃথিবী ; সেই স্বপ্নকে কিছু ধান্দাবাজ শয়তান তাদের হিংসা ও সার্থপরতা দিয়ে ভেঙে খান খান করে দিচ্ছে ! এটার জন্য আমি বর্তমান রাজনিতিকে দায়ি করবো ৷ তবে এটা বেশি দিন চলতে পারে না , একটা সময় একদিন আসবে যখন আমাদের স্বপ্নগুলো একে একে বেঁচে উঠবে ! আর যারা এই পৃথিবীটাকে কব্জা করতে চেয়েছিল , তাদের অবস্থানগত পরিবর্তন হবেই হবে ! দেখে নেবেন ,
প্রশ্নকর্তা :
সংস্কৃতি দিয়ে কি এই সমস্যা মিটতে পারে ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
অবশ্যই , কেন না ? একসময় ভারতবর্ষ থেকে ইংরেজরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে পেছন হেঁটেছিল কত বিপ্লবী , কত কবি ও গিতিকারদের সৃষ্টি , সাহস এবং সংগ্রামী চেতনার প্রতিভূকে ভয় পেয়ে ! তাই না ? আমি মনে করি , যখন কোন দেশ অন্য আর এক দেশের সাথে যুদ্ধ করে ; তখন এই দু’ই ক্ষমতা লোভি দেশকে আমি কখনোই ভালো এবং সুসভ্য দেশ বলে গণ্য করবো না !
প্রশ্নকর্তা :
এবার আসছি বিদ্যুৎ বাবু আপনার কবিতা নিয়ে কিছু কথা শুনতে ৷ ( কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক হাসি মুখে বললেন – বলুন ? )
বর্তমান পরিস্থিত , সমাজ ব্যবস্থা , মূল্যহীনতা , জাত-পাত , কিম্বা ধর্মটর্ম ; এইসব বিষয় নিয়ে আপনি কি এই মূহুর্তে কিছু লিখছেন , বা লিখবেন বলে চিন্তা করছেন ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
দেখুন আমি শুধুমাত্র কবিতা ও ছোটদের জন্য ছাড়া লিখি , তবে সম্পাদকদের আবদার মেটাতে গিয়ে মাঝেমধ্যে গল্পটল্প লিখতে হয় ! আমি মনে করি আমার মত যঘণ্য গদ্যকার অর্থাৎ গল্প লেখক পৃথিবীতে আর আছেন কিনা , সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে ! আমি খুব কমই গল্প লিখি , সেই লেখা যে কবিতার শরীর নিয়ে ফেলে সেটা আমি লেখার আগে অনুধাবন করতে পারি না ! ( মৃদু হেসে ) তবে কবিতাটা আমি খুবই যত্ন , নিষ্ঠা এবং একাগ্রতার সাথে লিখি ! এটা দু’ই বাংলার আমার পাঠক বন্ধুরা র্দীঘদিন ধরে দেখে আসছেন !
প্রশ্নকর্তা :
আধুনিক কবিতা নাকি দুর্বোধ্য ,আপনি কি মনে করেন ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
আসলে কি দুর্বোধ্যতা পাঠকদের অজ্ঞতা বা অযোগ্যতা বলে আমি মনে করি ! কবি বিষ্ণু দে , সুভাষ মুখোপাধ্যায় , বিরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , প্রেমেন্দ্র মিত্র , শঙ্খ ঘোষ , সুনীল , শক্তি , জয় গোস্বামী , সুবোধ সরকার”- দের এই অপবাদ শুনতে হয়েছে এবং মন্দার , সৃজাত আমাকেও শুনতে হয় ! আসলে কবিতা অনুধাবন করতে গেলে আগে ভিতরকার শিক্ষার প্রয়োজন ৷ এক কথায় পাঠকদের কবিতার শিক্ষার শিক্ষীত হতে হবে , তা না হলে আমাদের কবিতা পাঠকদের মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে ! তবে এটা সত্যি , কবিতা বোঝার লোক খুবই কম ! হাতে গুনে বলা যায় !
প্রশ্নকর্তা :
আপনি যে একটা কঠিন রাস্তার উপর দিয়ে দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে একটানা হেঁটে চলেছেন ; এতে আপনার এই কবিতা লেখার ব্যাপারটাকে কখনো একঘেঁয়েমি মনে হয় নি ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
না , কখনোই না ৷ আমি কবিতাকে ভালোবাসি , এই ভালোবাসা থেকেই নির্মাণ হয়ে আসছে আমার কবিতারা ! দেশ ও বিদেশের পাঠক বন্ধুরা আমাকে এবং আমার কবিতাকে ভালোবাসেন ৷ আর এক দুই বছর তো আমি লিখছি না চল্লিশটা বছর ! এই টানা দীর্ঘ চল্লিশটা বছর আমাকে এবং আমার কবিতাকে পাঠকরা সহ্য করে আসছেন, এটাই আমার কবিতার সার্থকতা বলতে পারি !
প্রশ্নকর্তা :
বিদ্যুৎ বাবু এবার বলুন আপনার প্রেম এবং কবিতার ভেতর তার প্রভাব কতটা বিস্তৃত ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
আমি বেশ পাকাপোক্ত প্রেমিক এই ছাপ্পান্ন বছর বয়সে ! কতবার যে আমার জীবনে প্রেমে এসেছে আর গেছে , তার হিসেব কষতে গেলে আমাকে নতুন করে আবার জন্ম নিতে হবে ! আমার দু’ই বাংলার পাঠকরা আমার কবিতায় নবনীতা নামের যে নারী চরিত্র রয়েছে , সেটা নিয়ে আমাকে অনেকে অনেক প্রশ্ন করে থাকেন ! পত্র পত্রিকার যারা ক্রিটিক বা সমালোচক , তাঁরাতো আমাকে আর নবনীতাকে নিয়ে বহুবার কলমও ধরেছেন ! তবে নবনীতা নিয়ে আমি কোনো কথা এখানে আমি বলব না , তাহলে আমার কবিতার অতলান্তে যে ব্যাপার স্যাপার গুলো আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে ৷ এটাও সত্যি , এখনো আমার লেটার বক্সে লাভ লেটার আসে ৷ এটাও হয , মঞ্চে কবিতা আবৃত্তি করতে উঠলে মহিলারা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকেন ! অনেকে অটোগ্রাফের খাতা আমার দিকে এগিয়ে দেন !
প্রশ্নকর্তা :
এবার আসছি আপনার কাছে কবিতায় উত্তর আধুনিকতাবাদ প্রসঙ্গে ৷ এই ব্যাপারটা যদি একটু খোলসা করে বলেন বিদ্যুৎ বাবু ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
এই প্রসঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকে অনেক ভাষণ-টাষণ দিয়েছেন , নানা সাহিত্যধর্মী ম্যাগাজিনে লম্বা লম্বা প্রবন্ধ লিখেছেন পন্ডিত মহল ৷ আমি সেই বিচারে পণ্ডিত- টন্ডিত নই , তবে আমার সামান্য অল্পসল্প পড়াশোনা থেকে এটা বলতে পারি , আসলে আমার যেটা মনে হয় এই উত্তর আধুনিকতাবাদ আধুনিকতাবাদের একটা প্রকারন্ত দিক ! যা গোটা ব্যাপারটাকে সমৃদ্ধ করে । কিম্বা আধুনিকাতার পরবর্তী সিঁড়ি বলা যেতে পারে ৷ কিন্তু আসলে আদৌ সেটা তা নয় !
কারণ এরা পরস্পর বিরোধী পক্ষ ৷ আধুনিকতার মূল উপজিব্য কারণ হল এটা যে সময় , একে আদ্যোপান্ত ধারণ করা ৷ কিন্তু উত্তরাধুনিকতার মূল বিষয়টা হল কোন কিছু ধ্রুব অর্থাৎ সত্য মেনে ধারণ করা যাবে না ৷ ফলে এই ধ্রুবহীনতাকে আদর্শ ধরে যে কাঠামোকে গ্রহণ করা হয় তাকেই বলা যেতে পারে উত্তরাধুনিকতাবাদ ৷ এই মতবাদটিতে লেখকের যে ক্যারেক্টরের কথা বলা হয়ে থাকে তা মূলত লেখকের স্বাধীনতা কিম্বা স্বকীয়তা ৷ কবিতার বিষয়বস্তুই হল বাস্তবতার ভিন্নরূপ ! কেননা কবি তার চারপাশে যেই চিত্র উপলদ্ধি করেন তাই শব্দের মাধ্যমে আঁকেন ৷
in a relationship : প্রেম,ভালবাসা আসলে কি ? মানুষ কেন প্রেম করে ? কী বলছেন বিজ্ঞান?
তবে বাস্তবতাকে যদি ধ্রুব না মানা যায় তবে কি দরকার কবিতায় ধ্রুবহীনতা ? এটাও কিন্তু সত্যি এই সব ব্যাপার ট্যাপার নিয়ে বেশি ভাবলে কিন্তু আসল দিকটায় ফাঁক থেকে যাবে ৷ সেটা হল কবির কলম দিয়ে কবিতা নির্মাণ না হয়ে ব্যাকরণ ট্যাকরণ শব্দ ও অক্ষরে গড়ে উঠবে ৷ আমি বিশ্বাস করি কবিতা মূলত সমাজ ও শিল্প গঠনের উপর নির্ভর করে নির্মাণ হয় ৷
আবার এটাও সত্য কবিতা কিন্তু গঠন নির্ভর নয় ৷ কবিতা হল বিষয় আর ভাব নির্ভর ৷ বাস্তবতার কল্পনা জ্ঞান দ্বারা যে নির্মাণ কাজ সাধিত হয় সেটাই কবিতা ৷ আমরা কি আগের কোন কবির কবিতা ফেলে দিতে পারবো , কিম্বা তাঁদের সৃষ্টি নিয়ে বিদ্রুপ করতে পারি ? অবশ্যই নয় ৷ যেটা পারি তা কেবল কবিতার ভিন্নধারা নির্মাণ করতে ৷ এইজন্যেই কবিতা আধুনিক বা পুরাধুনিক হয় না ৷ আধুনিক কিম্বা পুরাধুনিক হয়ে যার কবিতার শব্দ , গঠন , ভাষা আর তার সময়ের প্রেক্ষাপট ৷
প্রশ্নকর্তা :
বর্তমান প্রজন্মের কবিদের প্রতি আপনার কি বার্তা , যদি বলেন ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
নতুন বা নবীন যারা , তাদের লেখা আমি খুব মন দিয়ে পড়ি ৷ ওরা খুব ভালো লিখছেন ৷ আমার হুগলীর শ্রীরামপুরের ছায়ানীড়”- এর বাড়িতে বেশ কিছু নতুন কবি তাদের কবিতা শোনাতে আসেন , আমি ওদের কবিতা শুনে মুগ্ধ হই ! ওদেরকে একটা কথা বলবো , নিজেদের পায়ের নিচের মাটিকে শক্ত করে তবেই এই কবিতা চর্চার দিকে ঝুঁকতে ৷ যাই হোক , সবাই ভালো থাকুন , সুন্দর ও সুস্থ থাকুন ৷
প্রশ্নকর্তা :
বিদ্যুৎ বাবু একটা বিশেষ কথা আপনার কাছে জানতে চাইছি , সেটা হল কবিতার চিত্রকল্প ৷ এই বিষয়টা নিয়ে যদি বিস্তারিত কিছু বলেন ?
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
হ্যাঁ খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন ইব্রাহিম বাবু ৷ দেখুন , গোটা জীবনটা ধরে মস্ত মস্ত মোটা মোটা বই লেখার চাইতে , আমি মনে করি একটা সত্যি কারের রিয়্যালিষ্টিক অর্থাৎ সার্থক চিত্রকল্প নির্মাণ করা অনেক ভালো ! তাই না ? It is better to present one image in lifetime than to produce voluminous work I এটা আমার কথা নয় , এটা এজরা পাউন্ড এর প্রণিধানযোগ্য বাণী ! এই চিত্রকল্প বিষয়টা কি ? উপমা ও চিএকল্প ব্যাপারটা কি এক ? কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন ; উপমাই কবিত্ব ৷ উপমার মধ্যে চিত্র থাকলেও চিএকল্প ও উপমা কখনোই এক হয় না ৷ কবিতা রচনার মধ্যে কবির বুদ্ধিমত্তা ও আবেগের সংহতিকে যা একটা বিশেষ মুহূর্তে কবিহৃদয়ে জাগিয়ে তোলা !
Poet Bidyut Bhowmick : শ্রেষ্ঠ নির্বাচন থেকে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর কবিতা
কিন্তু এই ইমেজ কবির মনে জন্ম নেয় কিভাবে ? কবিকে আগে শব্দের দীক্ষা নিতে হবে ৷ শব্দ একটা কন্সেপ্ট concept অর্থাৎ ধারণার প্রতীক , এটা কিন্তু সর্বাগ্রে কবিকে অনুধাবন করতে হবে ৷ এরপর কবিকে শরীর , মন , প্রাণ দিয়ে বিশুদ্ধ থাকতে হবে ! তবেই তাঁর দর্শন আরও শক্তিশালী হবে ৷
সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায় চিত্রকল্পের যে বহুল প্রয়োগ দেখা যায় , “ইমেজিষ্ট” আন্দোলনের পরোক্ষ প্রভাব থেকেই সেটা এসেছে ! কবিতায় জীবনের গভীরার্থ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভাঙাচোরা সময় থেকে সুস্থিতি ফিরে পাওয়ার আত্যান্তিক তাগিদ আমি অহর্নিশ উপলব্ধি করি ! যাই হোক , এটুকুই বললাম ৷ আগামী দিনে কবিতার চিত্রকল্প”- এই বিষয়টা নিয়ে আরও বিস্তারিত বলার ইচ্ছা রইল ৷
প্রশ্নকর্তা :
বিদ্যুৎ বাবু , আপনার কাছে অনেক কিছু জানতে পারলাম ৷ আপনি যে আমাকে এতোটা সময় দিয়েছেন এর জন্য আপনার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা ৷
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক :
না না ওসব কিছু নয় , আমি যতটুকু জানি সেটাই আপনাকে বললাম ৷ তবে কবিতা লেখা খুবই কঠিন কাজ ৷ আমি মনে করি একটা কবিতার একটা লাইন আমৃত্যু একজন মানুষ তাঁর অন্তরের অন্তঃস্থল দিয়ে বয়ে নিয়ে বেড়ায় ! ওই এক লাইনই আমি প্রকৃত কবিতা বলে মনে করি ৷ যাই হোক , এবার আমাকে উঠতে হবে তার কারণ কলকাতার একটা এফ এম রেডিওতে আমার স্বরচিত কবিতা বলার আমন্ত্রণ আছে ৷ ইন্ডিয়াতে আবার এলে অবশ্যই আমার শ্রীরামপুর হুগলীর ছায়ানীড়”- এর বাড়িতে আসবেন কিন্তু ৷ উঠলাম …..