Breaking Bharat: জোড়া শালিক (Myna Bird ) দেখলে দিনটা ভাল যায়! এটা কি কুসংস্কার? আদৌ কি কোনও যুক্তি রয়েছে? কেন মানা হয় এই নিয়ম?
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই জানালার বাইরে যদিও দুই শালিকের (Indian Myna) দেখা মেলে, তাহলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন অনেকেই। দুই শালিক দেখলে নাকি ভাল যায় সেই দিনটা। অন্যদিকে এক শালিক চোখে পড়লেই শুরু হয় গেল গেল রব। অজানা কোনও এক আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে ওঠে মানুষের মন। এই শালিক দেখার সংস্কার বহুদিনের প্রচলিত। কিন্তু শালিক (Myna) নিয়ে এই প্রচলিত কথাগুলি কতটা যুক্তিযুক্ত জানেন? কেন মানা হয় এই নিয়ম (Why this rule is obeyed)?
ভারতীয় ময়না (Indian Myna) নামে পরিচিত কালচে বাদামি রঙের মাঝারি আকারের পাখি শালিক। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল, শালিকের বিস্তার সর্বত্র। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেও এই শালিক বেশ পরিচিত পাখি। শালিক-কে ঘিরে প্রচলিত ‘কুসংস্কার’ হল, এক শালিক দেখলে নাকি সারা দিনটাই মাটি, অন্যদিনে দুই শালিকের দেখা মিলে খুলে যেতে পারে ভাগ্য! শুরু হয় শুভ লক্ষণ।
আরো পড়ুন- South Indian Cinema : ভারতীয় সিনেমায় ‘সাউথ ইন্ডিয়ান’ ঝড়! ধোপে টিকবে তো বলিউড?
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান কী বলছে? এই সংস্কার আদৌ কতটা যুক্তিসঙ্গত? বিজ্ঞান বলছে, এই ধারণার আদৌ কোনও ভিত্তি নেই। এটি সম্পূর্ণ একটি ভ্রান্ত ধারণা। অন্যান্য প্রচলিত কুসংস্কারের মতো এটিও আদ্যিকাল থেকে চলে আসছে। ধরুন, আপনি সকালে একটি এক শালিক দেখলেন। এর পর নিতান্তই দুর্ঘটনাবশত আপনার সাথে কোনও খারাপ ঘটনা ঘটল। আর আপনিও তা দুয়ে দুয়ে চার করে নিয়ে ভেবে নিলেন, এক শালিক দেখার কারণেই এটা হয়েছে।
এবং সেটাই বহুলপ্রচলিত রূপ হিসেবে এক বদ্ধমূল ধারণার কুসংস্কার হিসেবে থেকে গেছে মানুষের মনে। শুধু শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয় শহরেও এখনও দুই শালিক দেখলে তাকে প্রণাম করার মতন ঘটনাও দেখা যায় আকছার। কিন্তু কিভাবে এল এই কুসংস্কার (How did this superstition come about) ? এ নিয়ে কোনও পুরনো নথি মেলেনি।
তবে এই সংক্রান্ত নথি খোঁজায় গবেষকরা অনেক চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। তবে বহু প্রাচীন পুঁথিতে উল্লিখিত রয়েছে যে, প্রাচীনকালে বিভিন্ন পশু ও পাখির সঙ্গে মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।