Breaking Bharat: (Life partner) পুরুষের মধ্যে কোন কোন গুণ থাকলে একজন নারী পাগলের মতো ভালবাসবে (Women will love like crazy)? একটা স্বপ্নের পুরুষের কাছ থেকে আসলে কী চান নারীরা?
সামনের বিয়ের মরসুম। জীবনসঙ্গিনী (Life partner) খুঁজতে গিয়ে অনেক পুরুষই হোঁচট খান। কপালে জোটে সরাসরি প্রত্যাখ্যান। প্রেমের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না। অনেকে তো হাল ছেড়ে ‘দুখি আত্মা’ হয়েই জীবন কাটিয়ে দেন। কিন্তু একথা কি ভেবে দেখেছেন, কেন পুরুষের কপালে বারবার প্রত্যাখ্যান (Rejection in love) জোটে নারীর থেকে? একটা স্বপ্নের পুরুষের কাছ থেকে আসলে কী চান নারীরা (What do women really want from men?)?
অনেকেই একবাক্যে বলেন, নারী মানেই টাকার পেছনে ছোটেন। এর থেকেও আরও ভয়ানক নারী-বিদ্বেষী মন্তব্য শোনা যায় বহু পুরুষের কথায়। আসলেই কি তাই? নাকি এর আড়ালে রয়েছে নারীমন না বোঝার মতো অক্ষমতা? দেখে নেওয়া যাক, আসলেই ছেলেদের কোন কোন গুণ পছন্দ করে মেয়েরা!
সঙ্গীকে বিশেষ মনে করাতে হবে:
পুরুষসঙ্গী। অর্থাৎ যে পুরুষের কাছে সহজেই ধরা দেওয়া যাব, যাঁর কাছে আবদার করা যাবে, সবচেয়ে বড় কথা, যাঁর কাছে যেকোনও পরিস্থিতিতে আশ্রয় পাওয়া যাবে নির্ভাবনায়। কিন্তু যে পুরুষরা তাদের নারীসঙ্গীকে বিশেষ মনে করাতে পারে না, তাদের সম্পর্কে নানা সমস্যা দেখা দেয়। দেখতে সুন্দর, কথাবার্তা ভাল, যত্নশীল হওয়া সত্ত্বেও যদি জন্মদিনে উইশ করতে ভুলে যান, সেখানেই কিন্তু অর্ধ্বেক নম্বর কাটা। অর্থাৎ গুরুত্ব দিতে হবে সঙ্গীকে। নারীরা এমনটাই চায় পুরুষের থেকে।
দুখি আত্মা? নৈব নৈব চ :
প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, অধিকাংশ মেয়েরাই তাঁর প্রিয় পুরুষের সদাহাস্যমুখ পছন্দ করেন। এমনিতেই এই ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সবাই কমবেশি ব্যস্ত এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন সময় খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটান। নারীর ক্ষেত্রে ‘মুড সুইং’ বা এই ধরনের আচরণের প্রবণতা অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে ওই খারাপ পরিস্থিতি কাটানোর জন্য মনের কথা ভালবাসার মানুষ বা প্রিয় পুরুষের সঙ্গে শেয়ার করেন। কিন্তু সেখানে এসেও যদি সেই খারাপ পরিস্থিতির মুখেই পড়েন, তাহলে বিরক্তি জন্মাতে পারে।
সত্য বলা বা কোনওকিছু গোপন না করা :
এক্ষেত্রেও অনেকে বলেন, সঙ্গীকে সব সত্য বলতে নেই? এই বাজারচলতি ‘ফরমুলা’ কাজে লাগাতে গিয়ে লাভ তো হয়ই না। উল্টে বিপত্তি। আসলে অনেকেই হয়তো জানেন না, নারী পছন্দ করে, তাঁর সঙ্গী তাঁকে সত্য কথা বলবে বা কিছু গোপন করবে না। তাতে বিশ্বস্ততা তো বাড়েই। পাশাপাশি একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মানও অটুট থাকে।
কেয়ার করি না? করতেই হবে :
নিজের সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হতেই হবে। নারীরা সবসময় তাদের পুরুষ সঙ্গীর কাছ থেকে কেয়ারিং আচরণ চায়। তাই যেকোনও সমস্যায় সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হতেই হবে। মনে রাখবেন, একজন নারীর ক্ষেত্রে বাহ্যিক সৌন্দর্য যতটা না আকর্ষণ করে, তার চেয়ে ঢের বেশি আকর্ষণ করে সঙ্গীর কেয়ারিং আচরণ।
চোখে চোখ রেখে কথা বলা!
কথা বলার সময় আই কনটাক্ট খুবই জরুরি। তাতে পুরুষসঙ্গীকে বেশি ভরসা করতে পারেন নারীরা। তাছাড়া আপনি দেখতে যেমনই হোন, চোখের কিন্তু আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। সেক্ষেত্রে চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বললে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। যাঁরা এভাবে কথা বলেন, তাঁরা তাঁদের সঙ্গীর কাছে বরাবরই আকর্ষণীয়।
আরো পড়ুন- Types of bird nests : কোন পাখির বাসা সবচেয়ে সেরা? বাবুই, চড়ুই, টিয়া, না বুলবুল পাখির?
ফিটফাট থাকুন!
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন মেয়েরা। তাই নিজের পরিপাটি উপস্থাপনের দিকে খেয়াল রাখবেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, পরিপাটি থাকা মানে কিন্তু সেজেগুজে থাকা নয়। পরিপাটি থাকা মানে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।