Breaking Bharat : এ নষ্ট শব্দের অ’বলা চোখ এখন যেভাবে আকাশটা নীল, ওখানে সাপলুডো খেলার মত স্বপ্ন ছড়িয়ে দিলাম ! ওই সূর্য একাই আমাকে অনেক কালের তাপ – উত্তাপ – উষ্ণতা দিতে দিতে মন খুইয়েছে স্বপ্নদোষে অথচ এভাবেই অতলান্ত নিয়ে পুড়ে যাই দহনে ও জ্বলনপীড়ায় !
এই ভিতর শূন্যতা ; আমিও একুশটা বছরের একা ও একক নীরবতায় ভোগ করেছি তবু কী এক অপ্রমেও অদেখা তাপে প্রতি মুহূর্তে আমি পুড়ে উঠি কবিতার স্তবকে স্তবকে ! কোন এক অ’ঘোষিত মৃত্যুতে ভালোবাসার আসন,নষ্ট জ্যোৎস্নায় চুপ নীরব ছিল বে-শ কিছুকাল ,মরণ মরণ অথই প্রেমে শরীর করেছে খেলা বিবেক বৈরাগ্য খুলে তবুও সেই ভুল মনচোখ খুলে প্রত্যেন্তে দেখে নেয় আমার শরীরে পৃথিবী ঘুমিয়ে আছে !
আরো পড়ুন- Poet Bidyut Bhowmick : বিশিষ্ট কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর কলমে একটি সহজ সত্য কাব্যিক উচ্চারণ
যে’ভাবে রোজ আকাশ দেখি ঠিক সেভাবেই ভেতর গভীরে অন্ধ হই ভালোবাসার কাছে ! ফুল চন্দনে আতোর গন্ধে চার কাধ নিয়ে চলে পৌঁছে দিতে শ্মশান বিশ্রামে ! এখানে সব কথা বলা হয়ে আছে বহুকালের ব্যর্থতা ও জন্মঋণ কিম্বা হৃৎপিন্ডের ভেতর তোমাকে না’বলা অনেক কিছুই, সব গ্লানী পুড়ে যাবে বৈদীক মন্ত্র উচ্চারণে !তবুযে জন্মে, আবার জন্মে প্রতিবার এভাবেই মরি, একমাত্র মৃত্যুকে ভালোবেসে !! বিলুপ্ত স্মৃতি ও কুমারী জ্যোৎস্না
আরো পড়ুন- A famous poet of Bharat and Bangladesh Bidyut Bhowmick : সহজ সত্য নির্মাণ
এই সূচিপত্রে’র শেষের কবিতা উল্কি আঁকে অন্তরে ! সময় ধন্য একটা ফুল একান্ন পৃষ্ঠার ভেতর শ্বাসরোধ হয়ে মরে ছিল সেটা তোর দেওয়া ছিল ! ভাব – ভালোবাসার রাতগুলো স্বরচিত সোহাগ মেখে চোখ পেতে চেয়ে নিয়ে ছিল দর্পণের নিষিদ্ধ শরীর , সুখ – অসুখের ভেতর ভিন্ন শ্রেণীর নির্জনতা আমাকে শুনিয়ে রাখে বিবর্ণ ঝড়ের ইতিহাস !সময়ের ভেতর সুধা অথবা গরল এ’আবার নিছক শরীরে টলমল করে ! এই একই কবে থেকে নির্জন হয়ে আছে চাঁদ আকাশের ছায়া পথ ; শেষ বেলায় স্বপ্ন দেখার ঘুম মধ্যরাতের বৃষ্টিকে ডাকে যাবতীয় অলীক ভাস্যে ,পার্থিব নারী চেহারা গুলো ভ্রূভঙ্গ লাস্যে সমস্ত রাত আমাকে অস্থির করে মারে নষ্টামীর চন্দ্র কিরণে !
লেখনী সময় : ~ ২৩/০৩/২০০০ স্থান :~ কবির বাসগৃহ ছায়ানীড় ,শ্রীরামপুর , হুগলী , ভারত , পশ্চিমবঙ্গ