Breaking Bharat: Railway Station: কথায় বলে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সমস্ত ক্ষেত্রে নারীর সাফল্য (Women’s success) সেই কথা বারবার প্রমাণ করছে। শুধু ঘরেই নয়, চার দেওয়ালের বাইরেও সমান তালে এগিয়ে চলেছে নারীরা। তবে আজকের কাহিনি নারী পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে নয়, বরং ঘরের বাইরের দায়িত্ব সামলাতেও যে নারীরা সমান সক্রিয়, তার নমুনা মিলবে আজকের কাহিনিতে।
জানলে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন, এদেশেই এমন এক রেলস্টেশন রয়েছে, যেটির দায়িত্বে রয়েছেন শুধুমাত্র নারীরাই। এককথায় বলতে গেলে, পুরুষকর্মী নয়, আস্ত একটি রেলস্টেশনের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নারীরা (Women are handling all the responsibilities of the railway station)।
ভারতেই রয়েছে এমন একটি রেলস্টেশন (Railway Station), যা সামলাচ্ছেন মহিলারা। আর গোটা দেশের মধ্যে এক ও অদ্বিতীয় সেই স্টেশনটি রয়েছে রাজস্থানে (Rajasthan)। এই স্টেশনে কোনও পুরুষকর্মীই নেই। মোট ৪০ জন রেলকর্মীর মধ্যে ৪০ জনই মহিলা।
এও একপ্রকার নারী ক্ষমতায়নের কাহিনি। রাজস্থানের জয়পুরের গান্ধীনগর রেলস্টেশনে (Gandhinagar railway station in Jaipur) যদি কেউ কখনও যান, সেখানে রেলকর্মীদের দেখলে প্রথমে অবাক হতেই পারেন। কারণ এই স্টেশনে কোনও পুরুষকর্মীকেই চোখে পড়বে না। স্টেশন সাফাইয়ের কাজ যেমন মহিলারা করছেন, তেমনই রেলের স্টেশন মাস্টারের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন মহিলারা।
কবে থেকে রাজস্থানের গান্ধীনগর স্টেশনে মহিলাদের ওপরই সমস্ত দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে? আজ থেকে প্রায় চারবছর আগে, ২০১৮ সাল নাগাদ প্রথম ওই স্টেশনের যাবতীয় দায়িত্ব সামলানোর ভার দেওয়া হয়েছিল মহিলাদের। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুসারে এই স্টেশনের মহিলাদের ওপরই সমস্ত দায়িত্ব।
আরো পড়ুন- Traveling : ছোট বাচ্চা নিয়ে ভ্রমণ করেন? তাহলে বাচ্চাদের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন!
অনেকে হয়তো মনে করবেন, এই রেলস্টেশনে যাত্রী হয়তো কম, তাই মহিলারা সুষ্ঠুভাবে পালন করছেন তাঁদের ভূমিকা। তাঁদের জন্য বলে রাখা ভাল, রাজস্থানের জয়পুরের গান্ধীনগর রেলস্টেশন (Gandhinagar railway station in Jaipur) থেকে রোজ প্রায় ৫০ টি ট্রেন যাতায়াত করে। আর যাত্রীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রায় ৭,০০০ লোক যাতায়াত করেন।
আরো পড়ুন- Unemployed life : টো টো করে ঘুরে বেড়ানো! বেকার জীবন, কোনও কাজ নেই, তাহলে লোকে কি বলবে?
সমস্ত দায়িত্বই নিজেদের হাতে সামলাচ্ছেন নারীরা (Women are handling all the responsibilities)। এমনকী, এত মানুষে আনাগোনা যে স্টেশনে, সেখানে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ভারও মহিলাদের ওপরই ন্যস্ত রয়েছে। কারণ এই রেলস্টেশনের আরপিএফ কর্মীরাও মহিলা।
আরো পড়ুন- Museum : জাদুঘর বা মিউজিয়াম সবার প্রিয়, কিন্তু জাদু ঘরে ছবি তুলতে দেয় না কেন?
আস্ত একটি স্টেশন পরিচালনার জন্য যে দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠার প্রয়োজন হয়, তা রয়েছে ওই সমস্ত মহিলা রেলকর্মীদের মধ্যে। স্টেশনটিতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। তাছাড়া আরও সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ‘সখি’ নামে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন তাঁরা। একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে পুরো স্টেশনের দেখভাল করছেন।