Breaking Bharat : অজান্তেই ছোটখাটো এমন ভুলভ্রান্তি আমরা করি, যার পরিণতি সম্পর্কে অনেকেরই ন্যূনতম ধারণা নেই। এটিএম থেকে টাকা তুলে স্লিপ ফেলে দেওয়াও এমনই একটা ভুল (Withdraw money from ATM)। এর জেরে বড়সড় একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে পারেন এটিএম ব্যবহারকারীরা (ATM users)।
লকডাউন এবং লকডাউন পরবর্তী সময়ে এটিএম-(ATM) এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। তবে শুধু এই সময়েই নয়, ব্যাঙ্কের টাকা তোলার লাইনে দাঁড়ানোর চেয়ে এটিএম-এ গিয়ে টাকা তোলার দিকেই মানুষের ঝোঁক বেশি। ঝক্কি কম। তবে এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় অনেকেই রসিদটি নেন না। কেউ কেউ নিলেও সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দেন। এমনটা ভুলেও করবেন না। কেন জানেন?
আরো পড়ুন- Unemployed life : টো টো করে ঘুরে বেড়ানো! বেকার জীবন, কোনও কাজ নেই, তাহলে লোকে কি বলবে?
প্রথমেই বলে রাখা ভাল সাইবার ক্রাইমের (cyber crime) কথা। টাকা তোলার পর পাওয়া স্লিপে থাকা বিশেষ কোড ব্যবহার করে হ্যাকাররা গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিতে পারেন? এই বিষয়ে হয়তো অনেকেই জানেন না।
তবে সংবাদসূত্রে দাবি করা হয়েছে, হ্যাকাররা এটিএম-এর উপরে নজরদারি করে থাকে। এটিএম স্লিপ হতে কোড তুলে নিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিতে পারে হ্যাকাররা। সুতরাং, এবার থেকে ভুল করেও ফেলে দেওয়া যাবে না এটিএম থেকে টাকা তোলার রসিদ।
আরো পড়ুন- Museum : জাদুঘর বা মিউজিয়াম সবার প্রিয়, কিন্তু জাদু ঘরে ছবি তুলতে দেয় না কেন?
যেকোনও রসিদই মূল্যবান। কারণ ওই রসিদই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক নথি। আর এটিএম থেকে টাকা তোলা মানে গ্রাহক ব্যাঙ্কের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করছেন। অর্থাৎ টাকা তোলার পর যে স্লিপটি পাওয়া যায়, সেটিই ওই লেনদেনের নথি। আর সেটিই যদি ফেলে দেন, তাহলে আপনার কাছে কোনও ফিজিক্যাল কপি থাকবে না, যাতে প্রমাণ হবে যে আপনি লেনদেন করেছেন। কোনও কারণে গোলমাল হলে ব্যাঙ্ক যদি স্লিপটি চায়, গ্রাহক তা দিতে পারবেন না। তাই এটি রাখা উচিত।
আরো পড়ুন- Digestive problems : আপনার কি হজমের সমস্যা? গ্যাস্ট্রো-এসোফাজিয়াল রিফ্লুক্স ডিজিজে ভুগছেন না তো?
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank account) থেকে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা আজকাল আকছার ঘটছে। কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখায় যোগাযোগ করা হলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে বটে। তবে আপনার কাছে যদি এটিএম এর রসিদটি থাকে তাহলে সহজেই চেক করে নিতে পারবেন, অ্যাকাউন্টে কত টাকা ছিল। বর্তমানে কত ব্যালেন্স রয়েছে তা জানা গেলেই বোঝা যাবে, কত টাকা চুরি হয়েছে। তাছাড়া সেই টাকা উদ্ধারের ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে রসিদটি।