Breaking Bharat : Bidyut Bhowmick – অনাবৃষ্টি`এভাবেই নির্মম সোহাগ শরীরী মাটিতে ! প্রত্যন্ত সোদা সোদা গন্ধে হিলিয়াম ভরা মায়াবী উচ্ছ্বাস , নির্ঘুম নিঃশব্দে চুপ নীরবতায় মন ভাসে জীবন লজ্জায় এই একবার স্পর্শেও ভুলেছি কতশত নিছক দুষ্টুমি ৷ অবাক স্তব্ধ দুঃস্বপ্ন গুলো প্রত্যন্ত শিহরণে এভাবেই একন্ত নির্বাক ! শেষেও ওধারের ছায়াবৃত্ত ঠেলে কোঁচড় ভর্তি করি তোর শরীরী জ্যোৎস্না ৷ সেদিনের সমস্ত সহ্যশক্তি গুলো সঠিক সম্মোহনে যথেষ্ট সভ্রম !
কিছু কিছু চোখ দৃষ্টি দহনে ভীষণ বিষধর, তবুও এভাবেই প্রতি রাতে মরি ; মরার স্বপ্ন যদি বাঁচিয়ে দিতে পারে তোর মায়াবী নগ্ন অন্ধকার ! আজ আমার প্রতিরাতের আস্পর্ধাগুলো অবিবেচক ; কবিতার গোপলাঙ্গে রাখে নানান জিজ্ঞাসা এখানেই প্রতিরাতে আমিও পুরোপুরি বুদ্ধিমান নটরাজ ; প্রেম ও শরীর নিয়ে একসাথে প্রযোজনে ডুবি কাম সরবরে বস্তুতঃ এখানে নষ্ট বাতাস অথচ এখানেই এই পথে আমারই প্রতি জন্মে অভিসারে আসা !
কত ভয় কত জটিল অপ্রমেও প্রণয় ; অনন্তকালের ঘুমন্ত কীটেরা এই পথে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লে অতলান্তে দয়াপ্রার্থীর মতো আমিও লক্ষবার ক্ষমা চাই প্রেমিকের ছদ্মবেশ খুলে ! যদিও কোন কোন রাতে অত্যন্ত নিঃসঙ্গ হতে হতে গদ্য পদ্য মেশানো হৃদয় ; আমার আমিত্বটাকে পৃথিবীর কাছে উলঙ্গ করে ছারে ! কী ভাবে শোকে এবং তাপে অদেখা ঈর্ষায় জ্বলি ; সেটা একমাত্র গোপনে গোপনে প্রমুখ স্মৃতির মধ্যে এভাবেই মরে আর বাঁচে ! কম আলোয় মৃদু লজ্জায় স্মৃতিগুলি অকস্মাৎ দেখা দিলে দর্পণে সারাবেলাটার অর্ধেক নগ্নতা ভেসে ওঠে ৷
আরো পড়ুন- শুধু জল খাওয়ার জন্যই কি পুকুর খনন? তাও আবার খাস কলকাতার বুকে?
শেষ রাতে সরল আলিঙ্গনে ভালোবাসার চোখ ফোটে ; তুই তবু বিষণ্ন দরজাগুলো খোলা রেখে আবেগ নিষ্ঠুর হয়ে চেয়ে আছিস অনাত্মীয় চেহারায় ! এই চোখ ছুঁয়েছে সোহাগ ; আজ সত্যি সত্যি ঝড় হবে কম আলোতে হাত এগিয়ে দিতেই স্মৃতির অতীত থেকে নিষ্ঠুর নিয়ম গুলো আছড়ে পড়ে ভালোবাসাহীন !
এভাবেই নিছক আবেগ নিয়ে নিজেকে ঠকাই দু’বেলা , আমার তুইহীন বিষ্কৃতি নেই ; এভাবেই তোর অতলান্তে ডুবে যেতে যেতে মনকে দেখাই এক হাজার মৃত্যুর মত সহজ নীরবতা ! যতবার ছুঁয়েছি তোকে ; সেটা যেন আঁধার ঝলসানো নগ্নতা, দুহাতে স্পর্শহীন অস্পষ্ট ঘাম এবং ঘামের আঁকা বাঁকা জলরেখা ;সেটাও বৃষ্টির গোপন ধারায় আয়নায় ডেকে আনে অলীক তেপান্তর !
আরো পড়ুন- মুঘল সাম্রাজ্যের নাম বারবার কেন আসে? এমন কী সম্পদ ছিল তাদের, যা নিলামে উঠে?
আরো পড়ুন- পৃথিবীজুড়ে ধনী-গরিবের বৈচিত্র, তবে এখানকার অধিকাংশ লোকই ধনী কেন জানেন ?
স্বভাবতই স্মৃতির বহু দূরে চলে যেতে যেতে মৃত্যুর অনেকটা কাছে শ্মশানমাটির গন্ধ নাকে আসে ; তাহলে মিলিয়ে নেই এতকালের অসবাসের জটিল দুঃখ ৷ এই অপার্থিব স্মৃতিসঙ্গী এখনো আমিও ; কত উঁচুতে ওই আকাশ ওখানে হাত পৌঁছালে মিলিয়ে যায় কান্নার দাগ ! আজ এত বছর পর সারাটা দিন বুকের মধ্যে জেগে ওঠে স্বপ্ন আলিঙ্গনের নীল আকাশ ! আজ তোকে একটা সত্যি কথা বলছি ; তোর জন্য প্রতিটা জন্মে ব্যথা গোপন করেছি ! তুই কি ভুলে গেছিস আমাকে ?
লেখনীকাল ১৮/১০/২০২১ স্থান > ছায়ানীড় শ্রীরামপুর ,হুগলী