Breaking Bharat: ঠোঁটে ফুসকুড়ি! ঠোঁটের কোণে গোটা বেরোচ্ছে? ভেতরে ভেতরে জ্বর হচ্ছে না তো? জানুন ‘জ্বর ঠোসার’ কারণ ও প্রতিকার। রোগ-ভোগ ছাড়া আজকাল আর জীবন কাটে না। আপনি কি জানেন প্রতিটা পরিবারে প্রতিটা ঘরে শারীরিক সমস্যা নিয়ে মানুষ জর্জরিত?
আর যেভাবে প্রতি মুহূর্তে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে যখন তখন বৃষ্টি যখন তখন রোদ। এইসবের ফলে কোনটা যে শীতকাল কোনটা গরমকাল কোনটা বর্ষাকাল বোঝাই যাচ্ছে না। বারো মাস এমন কিছু রোগের লক্ষণ শরীরের মধ্যে বয়ে বেড়াতে হয় যেগুলোর সঠিক সময় খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
তেমনি একটা লক্ষণ হল জ্বরঠোসা। এই সমস্যা আজকাল প্রায়ই সবার মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ঠিক কী কারণের জন্য এমনটা হয় অনেকেরই স্পষ্ট কোন ধারণা নেই।
জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার:
আজকের প্রতিবেদনে আমরা ‘জ্বরঠোসায় ভুগছেন যারা‘ তাদের সমস্যার কথা বলব। সাধারণ হিসেব বলে ঠোঁটের কোণায় একগুচ্ছ ফুসকুড়ি কিংবা কোনও কারণে ঘা হলে তাকেই বলে জ্বরঠোসা। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে একটা বদ্ধমূল ধারণা হচ্ছে শরীরের ভেতরে যদি জ্বর হয় আর সেটা যদি বোঝা না যায় তাহলে বাহ্যিক লক্ষণ হল এই জ্বরঠোসা।
ফুসকুড়ি ওঠার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ঘা হয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেকে বলেন ঠান্ডা লেগে এই সমস্যা হয়। আর ঘা হয়ে ব্যাথা শুরু হলে অনেক সময় রসও গড়ায়। আপনি কি জানেন এই ব্লিসিটারে ব্যথা হলে তাকে বলা হয় কোল্ড সোর। এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভার উপায়ের কথা তো বুঝতে হবে।
জ্বরঠোসায় ভুগছেন যারা:
চিকিৎসকেরা বলেন ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। আর ঠিক এই ইনফেকশনের কারণেই জ্বর আসে বা দেহের তাপমাত্রা বাড়ে। এই সমস্যা হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। যেকোনো বয়সের মানুষ এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।
আরো পড়ুন – Aiburobhat: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আইবুড়ো ভাতের’ স্ট্যাটাস! কেন আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো হয়?
তবে দশ বছর বয়সীদের থেকে কম যারা তাদের এই সমস্যা খুব একটা দেখা যায় না। তবে মাথায় রাখা দরকার যে প্রথমবার ফিভার ব্লিস্টার হয়ে তা সেরে যাবার পর HSV-1 স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে এবং পরবর্তীকালে নানা সময়ে বারবার এর প্রকাশ ঘটে।
জ্বরঠোসা কমানোর উপায়:
ঘরোয়া কিছু প্রতিকার আজকে আমরা আপনাদের বলব। এসব ক্ষেত্রে লেবু ভীষণভাবে কার্যকরী। মানিক ধরুন লেবু রয়েছে এমন এসেন্সিয়ল অয়েল তুলোর মধ্যে লাগিয়ে নিয়ে তারপর সেই তুলো দিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগাতে হবে। বুঝতে পারবেন ব্যথা যন্ত্রণা অনেকটা কম লাগছে।
আরো পড়ুন – Menstrual cup: ঋতুস্রাবের সময় ‘মেনস্ট্রুয়াল কাপ’ মেয়েদের কেন পছন্দ ?
এরপর ওই ক্ষতস্থানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন। উপকার পাবেন সহজে। মাথায় রাখুন ঠোঁটের যে কোন সমস্যার মূলে কিন্তু ভিটামিন সি এর অভাব। তাই খাবারের পাতে সব সময় টক জাতীয় কিছু রাখুন যাতে এই অভাব পূরণ হয়। ঘরোয়া কিছু উপায় বলি আপনাদের।
ঠোঁটে ফুসকুড়ি ঔষধ:
বাড়িতে থাকা রসুনের কোয়া বেটে সরাসরি যদি ঠোঁটের পাশে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে নেন তাহলে অন্তত দুই থেকে তিনবার এটা করার পর তফাৎটা বুঝতে পারবেন। টি ট্রি অয়েল মুখের যেকোনো সমস্যার জন্যই খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত এটি আপনার ত্বকের ব্যবহারের জন্য রাখতে পারেন।
আরো পড়ুন – যিনি এক বা দুই সন্তানের মা-কে বিয়ে করতে চান? সুবিধা বা অসুবিধা কি আছে?
৫ থেকে ১০ মিনিট। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ মধু লাগিয়ে রাখুন ঐ ক্ষতস্থানে। সকালে এবং রাত্রে অর্থাৎ দিনে দুবার ব্যবহার করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগালেও ব্যাথা যন্ত্রণা সেরে যায়।
তবে যাই হোক না কেন বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না। বড় কোন সমস্যা হওয়ার আগে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।